Header Ads

বিজয় মালিয়ার জীবনযাপন ঠিক কেমন ছিল জেনে নিন (প্রথম পর্ব)

এই মুহূর্তে ভারতবর্ষের অন্যতম বিতর্কিত ব্যাবসায়ী। কোর্টের হাজিরা এড়াতে এখন লন্ডনে আছেন। কিংফিশার এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড ব্রেয়ারিজ সহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির মালিক ছিলেন। একটা সময় "king of good times" বলতে এনাকেই বোঝানো হতো। নেতা মন্ত্রী আর সিনেমা জগতের নক্ষত্রদের সাথে তার সখ্যতা ছিল সুবিদিত। তার হাত ধরেই ইউনাইটেড ব্রেয়ারিজ একসময়ে পৃথিবীর দ্বিতীয় মদ উৎপাদক কোম্পানিতে পরিণত হয়েছিল। 



এখন যদিও সেই সুদিন আর নেই। তবুও আসুন দেখে নি বিজয় মালিয়া কিরকম জীবন যাপন করতেন একসময়ে। প্রথমেই দেখবো তার মালিকানাধীন কিছু চোঁখ ধাঁধানো বাংলো।

১. ক্যালিফোর্নিয়ার সঁসেলি তে ১৯৮৭ সালে এই বাংলোটি কেনেন বিজয় মালিয়া। ১১,০০০ বর্গফুটের এই বাংলোটি কিনতে সেই সময়েই খরচ হয়েছিল প্রায় ৮ কোটি টাকা যা আজকের মূল্যবৃদ্ধির হিসেবে দাঁড়ায় প্রায় ৬৬ কোটি ২২ লক্ষ টাকা। এই বাংলোতে পাবলো পিকাসোর আঁকা ছবি থেকে শুরু করে সদবি'র নিলাম থেকে কেনা প্রচুর মূল্যবান জিনিস রয়েছে। 



২. মাবুলা রিসর্ট
জোহানেসবার্গের উত্তরে অবস্থিত সাউথ আফ্রিকার অন্যতম বিলাসবহুল এই রিসর্টটির মালিকও বিজয় মালিয়া। ১২,০০০ হেক্টর জমির ওপর এই রিসর্টটি সেদেশের সবথেকে বড়ো ব্যাক্তিগত অভয়ারণ্য। এতো বড়ো রিসর্টে ঘর আছে মাত্র ৪৭ টি যা যেকোনো পাঁচতারা হোটেলের ঘর কেও হার মানাবে। বিশ্বের নামীদামী সেলিব্রিটিরা এই রিসর্টটির সদস্য।    


৩. কিংফিশার ভিলা:
ক্যান্ডোলিম সৈকতের নিকটবর্তী এই বাংলোটি বিজয় মালিয়া কেনেন নিজের এবং পরিবারের থাকার জন্য। এই বাংলোটি পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থানও বটে। বর্তমান বাজার দরের হিসেবে এই বাংলোটির দাম প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। এর ভেতরে বিজয় মালিয়ার ফেরারি সহ মোট কুড়িটি গাড়ি রাখা থাকে সবসময়। যদিও এখন এই বাংলোটিকে নিলামে চড়ানো হয়েছে অনাদায়ী ঋণ পরিশোধ করতে।     




৪. ট্রাম্প টাওয়ার, নিউ ইয়র্ক:
এই ট্রাম্প টাওয়ার বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের কোম্পানি তৈরি করেছে। এই ৩৭ তলার বিল্ডিংটি বর্তমানে নিউ ইয়র্কের সবথেকে দামি বিল্ডিং। লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া এখানে একটি পেন্টহাউসের মালিক। এই বিল্ডিং এ ওনার প্রতিবেশীরা হলেন এরিক প্রিন্স, ব্রুস উইলিস, বেয়ন্সে এবং টনি এমব্রে। সোনা যায় একটি পেন্টহাউসের জন্য বিজয় মালিয়া খরচ করেছেন প্রায় ৪২ কোটি টাকা।        





৫. ক্লিফটন এস্টেট:
জোহানেসবার্গের নেটলটন রোডে অবস্থিত এই বাড়িটি বিজয় মালিয়া কেনেন প্রায় ৫৭ কোটি টাকা খরচ করে। প্রসঙ্গত বলে রাখি এই নেটলটন রোড সাউথ আফ্রিকার সবথেকে দামি এলাকা। হলিউডি তারকা নিকোলাস কেজ এই বাড়িটিতে ২০০৯ সালে উঠেছিলেন "lord  of  war" ফিল্মের শুটিং এর সময়।  




শুধু এই কটি সম্পত্তিই নয়, বিজয় মালিয়া আরো অনেকগুলি সম্পত্তির মালিক। যার ভেতর রয়েছে ব্যাঙ্গালোরের কিংফিশার টাওয়ার্স, ফ্রান্সের উপকূলে একটি দ্বীপ সহ আরো অনেক কিছু। এর পরের পোস্টে আমি বিজয় মালিয়ার ইয়ট আর গাড়ির খবর লিখবো। অবাক হবার জন্য তৈরি থাকুন।

No comments:

Powered by Blogger.