Header Ads

জেনে নিন এই ৫ জন ভারতীয়কে - যাদের কাছে প্রতিবন্ধকতা কোনো বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি

আজকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব ৫ জন অসামান্য মানুষের যারা প্রতিবন্ধকতা জয় করেছেন। শারীরিক অসুবিধে থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মনের জোরে এই সমাজে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং দেখিয়ে দিয়েছেন যে প্রতিবন্ধকতা মানেই জীবনের শেষ নয়।  

সুধা চন্দ্রণ:
ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন যে ইনি ভারতীয় টেলিভিশনের অতি পরিচিত মুখ। এছাড়াও ইনি একজন অসাধারণ নৃত্যশিল্পী যিনি সারা পৃথিবীতে ভরতনাট্যম প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু অবাক হবেন জানলে যে এনার ডান পা কৃত্রিম। ১৬ বছর বয়সে একটি দুর্ঘটনায় ইনি ডান পা হারান এবং প্রস্থেটিক পা ব্যবহার  করেন। ১৯৮৬ সালে এই প্রতিভাময়ী নৃত্যশিল্পী জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন।



শেখর নায়েক:
জন্মান্ধ এই যুবক বর্তমানে ভারতীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। একসময় অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন ইনি। কিন্তু তার মনের জোর তাকে আজকে এই জায়গায় এনে দাঁড় করিয়েছে। এনার হাত ধরেই ভারতীয় ব্লাইন্ড ক্রিকেট দল T২০ বিশ্বকাপ জিতেছে এবং এই যুবক ইতিমধ্যেই ৩২ টি সেঞ্চুরীর মালিক।



এইচ রামাকৃষ্ণন:
মাত্র আড়াই বছর বয়সে পোলিও রোগে আক্রান্ত হন এই মানুষটি। কোনও সাধারণ স্কুল এনাকে ভর্তি করেনি এবং অনেক চাকরির সুযোগ হারিয়েছেন তার প্রতিবন্ধকতার কারণে। কিন্তু তার অদম্য মানসিকতা তাকে ভেঙে পড়তে দেয়নি। ৪০ বছর সাংবাদিকতা করার পর ইনি বর্তমানে SS Music চ্যানেলের সিইও এবং অত্যন্ত উঁচুমানের কর্ণাটকী ধারার গায়ক। এছাড়াও ইনি "কৃপা" বলে একটি চ্যারিটেবল ট্রাস্ট চালান। মনের জোরে যে দুনিয়া জয় করা যায়, তা ইনি করে দেখিয়েছেন।



এইচ প্রভু:
মাত্র চার বছর বয়সে ভুল চিকিৎসার জন্য এই মানুষটি চলনশক্তি হারান। কিন্তু তা সত্ত্বেও ইনি সাধারন স্কুলে নিজের পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। অসম্ভব পরিশ্রমের মাধ্যমে ইনি একজন নামি হুইলচেয়ার টেনিস খেলোয়াড় হয়ে ওঠেন। ১৯৯৮ সালের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পদক জয় করেন ইনি এবং ২০১৪ সালে ভারত সরকার এনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে।



সাই প্রসাদ বিশ্বনাথন:
ছোটবেলাতেই এই মানুষটি নিজের শরীরের নিচের অংশের সাড় হারিয়ে ফেলেন। কিন্তু তিনি কখনোই প্রতিবন্ধকতাকে নিজের দুর্বলতা হতে দেন নি। ইনি ভারতবর্ষের প্রথম প্রতিবন্ধী স্কাই ডাইভার এবং প্রথম প্রতিবন্ধী মানুষ হিসেবে ১৪,০০০ ফুট ওপর থেকে স্কাই ডাইভিং করে লিমকা বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছেন। ইনি "সহস্র" বলে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছেন যারা আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া বাচ্চাদের পড়াশুনার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। বর্তমানে ইনি একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে "Risk Consultant" হিসেবে কর্মরত।    

              


ছবিগুলি গুগল এবং উইকিপিডিয়ার সূত্রে প্রাপ্ত   


No comments:

Powered by Blogger.