Header Ads

বিজয় মালিয়ার জীবনযাপন ঠিক কেমন ছিল (শেষ পর্ব)

এর আগের প্রতিবেদনে আপনারা দেখেছেন, বিজয় মালিয়ার মালিকানাধীন বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট এর ছবি। এই পোস্টে আমরা দেখে নেবো, রিয়েল এস্টেট ছাড়াও ওনার আর কি কি সম্পত্তি আছে। বিজয় মালিয়ার রঙিন জীবনযাপন এর কথা আমরা সবাই মোটামুটি জানি কিন্তু তার অন্যতম শখ হলো পুরোনো গাড়ি কেনা। এছাড়াও বেশ কয়েকটি ইয়ট এবং দ্বীপ তিনি কিনেছেন সারা বিশ্ব জুড়ে। দেখে নিন তাদের ছবি।

ইন্ডিয়ান এমপ্রেস ইয়ট:
ডাচ কোম্পানি ওসিনকো'র বানানো এই ইয়টটি পৃথিবীর ৩৩ তম বৃহত্তম। ৯৫ মিটার লম্বা এই ইয়টটি বিজয় মালিয়া ২০০০ সালে ৯৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে কেনেন। আজকের হিসেবে এই ইয়টটির দাম দাঁড়ায় প্রায় ৬২১ কোটি টাকা। বিজয় মালিয়ার এইজ কাতারের রাজ্ পরিবার এই ইয়টটির মালিক ছিল। ৩ তলা বিশিষ্ট এই ইয়টটিতে ১৬ টি সুপার লাক্সারি ঘর আছে আর ২০ জন ক্রু মেম্বার করেন। শোনা যায় বিজয় মালিয়া এই ইয়টটি মাঝেমধ্যেই ভাড়ায় দিয়ে থাকেন বিশিষ্ট লোকজনের কাছে।



ক্যালিজমা ইয়ট:
১৯০৬ সালে তৈরি হওয়া এই ইয়টটি সারা বিশ্বে পরিচিত তার রাজকীয় চেহারার জন্য। ১৯৬৭ সাল অব্দি এই ইয়টটির মালিক ছিলেন স্যার রিচার্ড বার্টন আর এলিজাবেথ টেলর। তারা এই ইয়টটির নামকরণ করেন তাদের তিন সন্তানের নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে, কেট, লিজা আর মারিয়া। ১৯৯৫ সালে এই ইয়টটি নিলামে কেনে বিজয় মালিয়া প্রায় ৬৬ কোটি টাকা খরচ করে। শোনা যায়, এটিকে সারাতে আর নতুন করে সাজাতে খরচা পড়েছিল প্রায় ২০ কোটি টাকা। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারে বিজয় মালিয়া বলেছেন এটি তার সবথেকে প্রিয় ইয়ট এবং এটিকে তিনি কোনোভাবেই বিক্রি করতে চান না। এই ইয়টটি বিজয় মালিয়া প্রধানত নিজের ব্যাক্তিগত ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করে থাকেন।





বিজয় মালিয়ার আরেকটি শখ হলো পুরোনো এন্টিক গাড়ি কেনা। তার সংগ্রহে পৃথিবীর বেশ কয়েকটি দুষ্প্রাপ্য গাড়ি রয়েছে। আসুন দেখে নি সেগুলির ছবি।

ফেরারি ১৯৬৫ ক্যালিফর্নিয়া স্পাইডার:
এই মডেলের গাড়িটি মাত্র ১৪ টি তৈরি করা হয়েছিল। সারা বিশ্বের পুরোনো গাড়ি সংগ্রাহকরা এই মডেলের একটি গাড়ি কেনার জন্য মুখিয়ে থাকেন। বিজয় মালিয়া ঠিক কত টাকায় এই গাড়িটি কিনেছিলেন তা বলেননি। তবে শুধু টাকা থাকলেই এই গাড়িটি কেনা সম্ভব নয়।




এনসাইন এম এন ০৮:
এই গাড়িটি ১৯৭৭ সালে অনুষ্ঠিত ফর্মুলা ওয়ান এর জন্য বানানো হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের বেলজিয়াম গ্রা পি তে এই গাড়িটি অংশগ্রহণ করেছিল। বিজয় মালিয়া ১৯৮০ সালের গোড়ার দিকে এই গাড়িটিকে কেনেন। তবে টাকার অঙ্ক তিনি প্রকাশ করেননি।



১৯১৩ রোলস রয়েস সিলভার ঘোস্ট:
এই গাড়িটি পৃথিবীর বিরলতম গাড়িগুলির মধ্যে একটি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন রোলস রয়েস কোম্পানি এই মডেলের গাড়িগুলি তৈরি করে। বিজয় মালিয়া কেনার আগে এই গাড়িটির তিনজন মালিক ছিলেন। ১৯৮০ সালে গাড়িটিকে বিশ্ববিখ্যাত রেস্টোরেশন আর্টিস্ট হার্লি সাহেবের কাছে পাঠানো হয় গাড়িটিকে সরিয়ে তোলার জন্য। সেখান থেকেই বিজয় মালিয়া গাড়িটিকে কিনে নেন। অন্য সব গাড়ির মতোই তিনি এটার দাম জানাননি তবে অসমর্থিত সূত্র অনুযায়ী তিনি প্রায় ৩০ কোটি টাকা দিয়ে গাড়িটিকে কেনেন।


জাগুয়ার এক্স জে আর ১৫:
এই গাড়িটি মাত্র ৪০ টি মডেল তৈরি হয়েছিল। এই গাড়িটির একটি ছোট্ট ইতিহাস আছে। কার রেসার এনডি এভান্স এই গাড়িটিকে নিয়ে একটি আন্তঃ মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। যদিও এই গাড়িটি রেস্ জিততে পারেনি, কিন্তু এই গাড়িটি একমাত্র গাড়ি ছিল যা কোনো দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়নি। ১৯৯৯ সালে বিজয় মালিয়া এই গাড়িটি সরাসরি এনডি এভান্স এর থেকে কিনে নেন।



গাড়ি বাড়ি তো অনেক হলো। বিজয় মালিয়া কিন্তু বেশ কিছু দুষ্প্রাপ্য জিনিসের মালিক গাড়ি বাড়ি ছাড়াও। ২০০৩ সালে সদবির নিলামে ২ লক্ষ পাউন্ড খরচ করে ইনি টিপু সুলতান এর ব্যবহৃত একটি তলোয়ার এবং একটি স্বর্ণ খচিত বন্দুক কেনেন। টাকার হিসেবে যা প্রায় ১৮ কোটি টাকা।



No comments:

Powered by Blogger.